শিলিগুড়িবার্তা ওয়েবডেস্ক, ০৬ ডিসেম্বর : মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করার পরেও এখনও শহর-শহরতলীতে বৃহন্নলা সেজে অবাধে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে তোলাবাজি করা হচ্ছে এবং তা অত্যন্ত লজ্জাকর। এরফলে বাংলার সৃষ্টি-সংস্কৃতি কলুষিত করছে ওই সমস্ত নকল হিজড়ার দল। তাই নকল বৃহন্নলারা সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করতে দেখলেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরে সত্যি কি নকল বৃহন্নলা বা হিজড়াদের দৌরাত্ম কি কিছু কমেছে? তা সরেজমিনে অবলোকন করতে লাইভ তিতুমীরের এই প্রতিনিধি দল অন্তর্তদন্তে নেমেছিল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ মেইন লাইনের লোকাল ট্রেনে।
এই অন্তর্তদন্তে জানা গেছে আগরপাড়া রেলষ্টেশনে “আপ শান্তিপুর” লোকাল ট্রেন ষ্টেশনে প্রবেশ করার আগেই সামনের দিকে কয়েকজন নকল বৃহন্নলাদের হাততালিতে হুলুস্থুল পড়ে গেল। একেবারে সামনের কামরায় উঠে গেল দুই নকল বৃহন্নলা। আর ট্রেনের পিছনের দিকে উঠল আরও দুই নকল বৃহন্নলা। এরপর প্রতিনিধি দল সামনের দুই নকল বৃহন্নলাকে অনুসরণ করে ট্রেনে উঠল। ট্রেনের ভিতর উঠেই উৎশৃঙ্খল নকল বৃহন্নলার দল শুরু করলো অশ্লীল আচরণ। ছেলেদের গায়ে হাত, মেয়েদের চুলে, শাড়িতে, ব্লাউজে হাত দিয়ে টানাটানি করে তোলাবাজি। আবার তাদের ১ টাকা ২ টাকা বা ৫ টাকা নয়, তাদের চাই যাত্রী পিছু ১০ টাকা। আর না দিলেই চোখ রাঙানি। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, সঙ্গে খিস্তি খেউর, না কেউ প্রতিবাদ করে না। পুলিশের তো টিকিই খুঁজে পাওয়া গেল না শান্তিপুর। এমনকি মহিলা কামরাতেও একই ভাবে মহিলা যাত্রীদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়ে টানাটানি করতে থাকে নকল বৃহন্নলার দল। সন্মান বাঁচাতে মহিলা যাত্রীরা টাকা দিয়ে রক্ষা পেতে চান। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও রক্ষা নেই। কারণ তখনও চলতে থাকে নকল বৃহন্নলাদের যৌন সুখ নেওয়ার অদম্য চেষ্টা।
এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পরেও রেলপ্রসাশনের চরম উদাসীনতায় নকল বৃহন্নলাদের তান্ডবে রেলযাত্রীদের অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করেই যাতায়াত করতে হবে। আর রেলযাত্রীরা জানেন না, কবে বন্ধ হবে নকল বৃহন্নলাদের তোলাবাজি।
রেলের ছবি সৌজন্যে গুগল।